দেড় বছরের শিশুর পায়ে ঢুকে গেল ইঞ্জেকশনের সূঁচ , কাঠগড়ায় পৌরসভার স্বাস্থ‍্য কর্মী : চাঞ্চল‍্য বৈদ‍্যবাটীতে

11th June 2020 6:13 pm হুগলী
দেড় বছরের শিশুর পায়ে ঢুকে গেল ইঞ্জেকশনের সূঁচ , কাঠগড়ায় পৌরসভার স্বাস্থ‍্য কর্মী : চাঞ্চল‍্য বৈদ‍্যবাটীতে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বৈদ‍্যবাটী ) : হুগলীর বৈদ‍্যবাটী পৌরসভার স্বাস্থ‍্য কেন্দ্রে ইঞ্জেকশন নিতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়লেন এক শিশুর পরিবার । দেড় বছরের শিশুর পায়ে ঢুকে গেল ইঞ্জেকশনের সূঁচ । স্বাস্থ‍্য কর্মী চেষ্টা করেও বের করতে না পারায় বৈদ‍্যবাটী থেকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হল শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে । অস্ত্রোপচার করে পা থেকে বের করা হল সূঁচ । সাতটি সেলাই পড়লো শিশুটির বাঁ পায়ের উরু তে । যাকে ঘিরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শিশুর পরিবারের আত্মীয় স্বজন । লিখিত অভিযোগ ও জানিয়েছেন বৈদ‍্যবাটী পৌরসভায় । সামগ্ৰিক বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম‍্যান অরিন্দম গুইন । যে স্বাস্থ‍্যকর্মী ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন তিনি জানিয়েছেন , সাবধানতা নিয়েই ইঞ্জেকশন দিচ্ছিলেন তিনি । কিন্তু হঠাৎ করেই  সূঁচটা ভেঙে যায় । বের করার চেষ্টা করেও বের করতে পারননি । যদিও স্বাস্থ‍্য কর্মীর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন পরিবার । শিশুকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় যে সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করার দরকার ছিল তা না করেই তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে । এমনকি পরবর্তী সময়ে শ্রীরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়েও কেউ সাহায‍্য করেননি । শিশুর পরিবারের সাথেও কেউ পৌঁছনোর উদ‍্যোগ নেননি । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।